পথে পথে চাঁদাবাজি, অযৌক্তিক শুল্ক আরোপ ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে ধাপে ধাপে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দাম নিয়ন্ত্রণ
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫টি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে ।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘ভারত থেকে অতি শিগগিরই ২০ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হবে। এছাড়া আসন্ন রমজান মাসের আগে সকল নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।’
দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভারত থেকে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আমরা দেখছি, দু-তিন দিনের মধ্যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে আমদানি করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিব এখন বিদেশে। গতকাল রাতেও (রোববার) মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে।
পেঁয়াজ রপ্তানির উপর ভারতের শুল্ক আরোপের অজুহাত দেখিয়ে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যেন দাম কিংবা মজুদের ক্ষেত্রে কারসাজি করতে না পারে সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার তদারকি করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান।